প্রতারণার হাত থেকে যেভাবে বাঁচবেন
কৃষি পরামর্শ-১
১. অনেকে বেসরকারি ভাবে বা ব্যক্তি উদ্যোগে বিদেশি কিংবা নতুন জাতের বীজ চারা লাগিয়ে কাংখিত ফসল পান না। এতে আর্থিক লোকসানে পড়েন।তাই পরামর্শ থাকবে নতুন কোন জাত লাগানোর পূর্বে অর্থাৎ বানিজ্যিক চাষের পূর্বে পরীক্ষামূলক ভাবে লাগান। অভিজ্ঞতা অর্জন করুন। তারপর বানিজ্যিক চাষের চিন্তা করুন।
২. ইউটিউব বা ফেসবুক এমন সহস্র ভিডিও পাবেন যারা রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখায়। শুনুন ভাই বাপ দাদারা শত বছর ধরে চাষাবাদ করে আসছে তাদের অভিজ্ঞতাও কম না অথচ তাদের নূন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। মূলত কিছু লোক ফলের চেয়ে চারা বিক্রির উদ্দেশ্যে এমন প্রচারণা চালায়। কিন্তু যারা ভিডিও বা কন্টেন্ট তৈরি করছে তারা তো সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে প্রচার করছে।এখানে উপস্থাপকের কোন ত্রুটি দেখি না।কারণ তারা কৃষি সম্প্রসারণের জন্য কষ্ট করছে।মিথ্যা বলছে ঐ চারা বিক্রেতা। তাই চারা বিক্রিতাদের থেকে সাবধান!
৩. যদি জমি বা অর্থ কম থাকে অবশ্যই চিন্তা ভাবনা করে অভিজ্ঞ লোকের পরামর্শ নিয়ে চাষ করবেন।
৪. কিছু লোক চড়া মূল্যে চারা বিক্রি করছে।এটা রীতিমতো ডাকাতি। যেমন সৌদি খেজুর, ড্রাগন, আপেল,কমলা,মাল্টা, আঙ্গুর, এলাচ, বিদেশি আম ইত্যাদি।এদের নিকট থেকে ক্রয় করবেন না।পরামর্শ থাকবে সরকারি হার্টিকালচার সেন্টার (জেলায় রয়েছে) থেকে কিনবেন। ভালো জাত কম মূল্যে পাবেন।
৫. একসাথে অনেক চারা না কিনে পরীক্ষামূলকভাবে দু চারটা কিনুন পরে সফলতা পেলে কলম করে চারার সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারবেন।
৬. সমন্বিত কৃষি করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে জানতে হবে কোনগুলো ছায়া পছন্দ করে,আর কোনগুলো রোদ?
৭. ভালো মানের বীজ সংগ্রহ করুন। কৃষি অফিসে গিয়ে পরামর্শ নিন।মনে রাখবেন মা সুস্থ থাকলে বাচ্চাও সুস্থ হয়ে জন্ম নেবে।
৮. কীটনাশক ও রাসায়নিক সার ব্যবহারে সতর্ক হোউন।কারণ অনেকে পাট ক্ষেতে ঘাস নিধন কীটনাশক ধান ক্ষেতে ব্যবহার করে ধান গাছ মেরে ফেলেছে। তাই কীটনাশক পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করুন।
ধন্যবাদ
আরো পড়ুন
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন