২০৩০ সালের ভয়াবহ বন্যা
আবহাওয়া ও জলবায়ুর পরিবর্তন এবং পৃথিবীর চারিদিকে আবর্তনশীল চন্দ্রের কক্ষপথ থেকে সরে যাওয়ার কারণে ২০৩০ সালের মাঝামাঝি সময়ে প্রায় এক দশকের জন্য উচ্চ জোয়ারের বন্যার মুখোমুখি হবে বিশ্ব। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা NASA এমন তথ্য জানিয়েছেন।
![]() |
Climate changed |
অধিক হারে জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি, অনিয়ন্ত্রিত ও অপরিকল্পিত শিল্পায়ন, ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার, পরিবেশে কার্বনডাইঅক্সাইড বৃদ্ধির কারণে দিনদিন পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে।
এক রিপোর্টে জানা যায় ১৮৮০ সাল থেকে প্রতি দশকে পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা ০.০৮ ° সে হারে বাড়ছে।
পৃথিবীর এই তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে সমুদ্র ও হিমালয়ে জমে থাকা বরফ গলতে শুরু করেছে। যার কারনে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে।
আমরা জানি সূর্য ও প্রধানত চন্দ্রের কারণে জোয়ার ও ভাটা হয়ে থাকে। তবে সূর্য পৃথিবী থেকে অনেকটা দূরে হওয়ার দরুন পৃথিবীর উপর প্রযুক্ত মহাকর্ষ বল তেমন একটা প্রভাব ফেলতে পারে না। আমরা জানি যে, চন্দ্র পৃথিবীকে আবর্তনকালে পৃথিবীর যে অংশ চন্দ্রের দিকে থাকে সেই অংশের নদী বা সমুদ্রের নিচের মাটি অপেক্ষা পানিকে তার মহাকর্ষ বল দ্বারা নিজের দিকে বেশি আকৃষ্ট করে ফলে নদী বা সমুদ্রের পানি ফুলে ফেঁপে জোয়ারের সৃষ্টি করে। আবার একই সময়ে পৃথিবীর যে অংশ চন্দ্রের বিপরীতে থাকে সেই অংশের সমুদ্রের পানি অপেক্ষা মাটিকে বেশি আকৃষ্ট করে ফলে ভাঁটার সৃষ্টি হয়।
বিজ্ঞানীরা দেখতে পেয়েছেন, চন্দ্র তার কক্ষপথ থেকে ক্রমশ সরে যাচ্ছে ফলে ধারণা করা হচ্ছে ২০৩০ সালের মাঝামাঝি সময়ে প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরে সমুদ্রের পানি ফুলে-ফেঁপে উচ্চ জোয়ারের সৃষ্টি হবে।এই অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ গতিসম্পন্ন মূখ্য জোয়ারের কারণে পৃথিবীর বেশিরভাগ উপকূল এলাকা পানিতে তলিয়ে যাবে। আমরা জানি যে ইতোমধ্যে চীন,কানাডা, জার্মানি, নেদরল্যান্ডস ও যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। আগামী দশক পৃথিবীর জন্য কতোটা ভয়াবহ বিপদ অপেক্ষা করছে তা হয়তো আমরা কল্পনাও করতে পারছি না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন