পরিবেশ বন্ধু গাছ যেভাবে কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করে আমাদেরকে বাঁচায়।

 উদ্ভিদ যেভাবে কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করে আমাদেরকে রক্ষা করে 


আমরা সবাই জানি উদ্ভিদ কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্রহণ  করে এবং অক্সিজেন সরবরাহ করে।মানুষসহ যত প্রাণী পৃথিবীতে রয়েছে সবাই অক্সিজেন গ্রহন করে এবং কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমন করে।কাঠ-কয়লা ও অন্যান্য জ্বালানি পুড়ানোর ফলে পুরো পৃথিবীতে প্রতি বছর ৪০ বিলিয়ন টন কার্বন ডাই-অক্সাইড পরিবেশের সাথে মিশে যাচ্ছে। যার কারনে  পৃথিবীর উষ্ণতা বেড়েই চলেছে।তাপমাত্রা বৃদ্ধি হওয়ার ফলে সমুদ্র  ও হিমালয়ে জমে থাকা বরফ গলতে শুরু করেছে। এভাবে গলতে থাকলে সমুদ্র  পৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে উপকূল এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যাবে।এছাড়াও কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্রিনহাউজ এফেক্ট এর জন্য দায়ী,কার্বন বাতাসের মাধ্যমে মানুষের   ফুসফুসে প্রবেশ করে,এতে ফুসফুসে  ক্যান্সার হতে পারে। বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে বলছেন, যদি পৃথিবীতে  আমেরিকার আয়তনের সমপরিমান বনাঞ্চল সৃষ্টি করা যায় তবে কার্বন-ডাই-অক্সাইড এর পরিমান ২৫ শতাংশ কমানো সম্ভব হবে।এক জরিপ অনুযায়ী, কৃষি ও আবাদি জমির কোনরূপ  ক্ষতি না করেই পৃথিবীর মোট আয়তনের এক-তৃতীয়াংশ ভূমিতে কৃত্রিম বনাঞ্চল সৃষ্টি করা সম্ভব। কারণ হাজার হাজর হেক্টর উর্বর ও অনাবাদি জমি অযথা পড়ে আছে।আরেক গবেষণা বলছে,যদি এসকল উর্বর পতিত জমিতে ঔষধি ও ফলজ গাছ লাগানো যায় তবে একদিকে  অর্থ ও পুষ্টির চাহিদা মিটবে  অন্যদিকে পরিবেশকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। 

পরিবেশ রক্ষায় গাছের ভূমিকা


তাই আসুন সবাই মিলে বৃক্ষ রোপণ করি।

কাদের কৃষক বলা হয়?কৃষি ও কৃষকের প্রশ্ন।

কৃষক কাকে বলে?

 যে বা যারা মাঠে ফসল ফলায়,কৃষি কাজ করে,হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল লালন-পালন করে, মাছ চাষ করে এক কথায় চাষাবাদ ও কৃষি কাজের সাথে যারা যুক্ত তাদেরকে কৃষক বলা হয়।

তবে  আধুনিক অর্থনীতিতে কৃষকের সংগা হলো যারা কৃষি জমি বা ফার্মের মালিক।এবং যারা মাঠে কাজ করে,অন্যের ফার্মে অর্থের বিনিময়ে কাজ করে তাদেরকে কৃষি শ্রমিক বা দিনমজুর বলা হয়।


বিশ্বের  কত সংখ্যক লোক কৃষি কাজে নিয়োজিত? 

২০১৮ সালের এক জরিপ অনুযায়ী পুরো পৃথিবীর আনুমানিক  ১১০ কোটি লোক সরাসরি কৃষি কাজে সম্পৃক্ত। এবং প্রায় ৩০-৫০ কোটি লোক কৃষি শ্রমিক হিসাবে অন্যের জমিতে কাজ করে।


পৃথিবীর ধনী কৃষক কে?

ফোর্বসের তালিকায় থাকা পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী কৃষক চীনের "লিউ ইয়ংজিং" তার মোট সম্পদের মৃল্য ৬.৬ বিলিয়ন ডলার।


পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি জমির মালিক কে?

পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি জমির মালিক গ্রেট বৃটেনের রাণী এলিজাবেথ (২য়), বৃটেন, আয়ারল্যান্ড, কানাডা,অষ্ট্রেলিয়া ও কমনওয়েলথ এর অন্যান্যজায়গা ধরে সর্বমোট ৬.৬ বিলিয় একর জমির  মালিক।


গ্রাম্য কৃষি ও কৃষকের কবিতা " ইচ্ছা " লেখক আহসান হাবীব

কবি আহসান হাবিবের লেখা " ইচ্ছা" কবিতা পড়েনি এমন শিক্ষিতলোক নেই বললেই চলে।প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোন এক শ্রেণীতে পড়েছিলাম।সেটা আমার প্রিয় ভিজিটরদের জন্য আবারো তুলে ধরলাম। কিছু কিছু কবিতা সংরক্ষণ করে রাখতে হয়। সেই উদ্দেশ্যে লেখা।

বাংলার কবিতা



*********** ইচ্ছা 

*****লেখক আহসান হাবীব 


মনারে  মনা কোথায় যাস?

বিলের ধারে কাটব ঘাস।

ঘাস কি হবে?


বেচব কাল,

চিকন সুতোর কিনব জাল।

জাল কি হবে?


নদীর বাকে, 

মাছ ধরব ঝাঁকে ঝাঁকে।

মাছ কি হবে?


বেচব হাটে,

কিনব শাড়ি পাটে পাটে।

বোনকে দেব পাটের শাড়ি,

মাকে দেব রঙিন হাঁড়ি। 



পুরুষের গোপন সমস্যা সমাধানে প্রাকৃতিক খাবারের নাম

 যৌনশক্তি বর্ধক কি কিছু প্রাকৃতিক খাবারের নাম

আমরা আমাদের যৌন জীবনকে আরো সুখী করতে কত চেষ্টায় না করে থাকি। কিছু অসাধু ব্যাবসায়ী আছে যারা এটার সুযোগ নিয়ে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।।  অথচ প্রাকৃতিক উপায়ে এসকল সমস্যার সমাধান সম্ভব।  আমরা যদি নিয়মিত ব্যায়াম,পুষ্টিকর খাবার, ও নিয়ম মাফিক ঘুমায় তবে এসকল সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। চলুন যৌনশক্তি বর্ধক কিছু খাবারের নাম জেনে নেয়া যাক।

যৌন সমস্যার সমাধান


জিংক যুক্ত খবার: জিংক সমৃদ্ধ খাবার খেলে যৌন শক্তি বৃদ্ধি পায়। জিংক আছে এমন সবচেয়ে পারফেক্ট খাবার হচ্ছে ঝিনুক।ঝিনুকে প্রচুর পুষ্টিগুন রয়েছে। জিংক শরীরের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে এবং টেস্টস্টরেন হরমোন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে ফলে যৌনশক্তি বৃদ্ধি পায়। তবে সতর্ক বার্তা এই যে, সামুদ্রিক ঝিনুক হতে হবে।

ঝিনুক ছাড়াও গরুর মাংস, কুমড়ো বীজ, ও শিম সিদ্ধতে প্রচুর পরিমানে জিংক থাকে।


মাংস: গরু ও মুরগির মাংসতে অ্যামাইনো এসিড থাকে।যা শরীরের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে।ফলে যৌনশক্তি বৃদ্ধি পায়।তবে মাংস সবার জন্য ভালো খাবার নয়। যাদের হার্টের সমস্যা ও শরীরে অন্য কোন সমস্যা থাকলে মাংস না খাওয়া ভালো।


মাছ:  স্যালমন মাছ যৌনশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।টুনা, সার্ডিনস, হালিবুটসহ এ জাতিয় সামুদ্রিক মাছ খেলে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি পায়।


বাদাম এবং বীজ: আগেই বলেছি জিংক আছে এমন খাবার রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে ও হরমোন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।আখরোট,কুমড়ো বীজ,কাজু বাদাম,চিনা বাদাম, আলমন্ডসে প্রচুর পুষ্টি রয়েছে যা যৌনশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।


যৌনশক্তি বৃদ্ধি করে এমন কিছু ফল-মূল ও শাক-সবজির নাম তুলে ধরা হলো।

পালং শাক, মূলা,শিম,লেটুস আপেল, স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, আঙ্গুর,চেরি ফল, ও সাইট্রাস জাতীয় ফল ( কমলা,মাল্টা,লেবু) ইত্যাদি। আমরা যদি নিয়ম মেনে চলি ও পুষ্টিকর প্রাকৃতিক খাবার নিয়মিত খায় তবে বেশিরভাগ  সমস্যার সমাধান করা যাবে।



কোন খাবারে কি ভিটামিন আছে

 কোন ফলে কি ভিটামিন থাকে জেনে নিন

যাহা খাদ্য তাতে কিছু না কিছু উপকারী গুন অবশ্যই রয়েছে। তবে কিছু কিছু খাবারের ব্যাপারে নির্দিষ্ট কিছু শারিরীক সমস্যার কারনে বিধিনিষেধ থাকতে পারে।চলুন জেনে নেয়া যাক আমাদের হাতের কাছেই পাওয়া যায় এমন কিছু ফল-মূল ও শাক-সবজির গুনাগুন।


ভিটামিন সি এর উৎস: আমলকি,লেবু,বাতাবিলেবু, কমলা লেবু, কামরাঙা, তরমুজ, পেঁপে,আমলকি ইত্যাদি

ভিটামিন ডি এর উৎস : বিভিন্ন মাছের তল,ডিমের কুসুম, মাখন,ঘি,চর্বি, ইলিশ মাছ ইত্যাদি। 

ভিটামিন ই এর উৎস : ডিমের কুসুম, মটরশুঁটি, অংকুরিত ছোলা।

ভিটামিন কে এর উৎস: সবুজ শাক,ফুলকপি,বাঁধাকপি,লেটুস পাতা,পালং শাক,গরুর কলিজা,টিনজাত মাছ ইত্যাদি। 

ভিটামিন এ এর উৎস: গাজর, মিষ্টি আলু,পালং শাক ও  শাক-সবজি, পনির,দুধ,দই ইত্যাদি। 

ভিটামিন বি এর উৎস: লাল মাংস, পনির,দুধ,মাছ,কলা,শিম, ডিম,মসুর ডাল,কাজুবাদাম,অ্যাভোকাডো,সূর্যমুখী বীজ ইত্যাদি। 

লৌহ: কলা,মাংশ, পোল্ট্রি, মাছ,শিম ইত্যাদি। 




বাজার থেকে কেনা এলাচ দিয়ে কি চারা তৈরি করা যায়

 বাজার থেকে কেনা এলাচ দিয়ে কি চারা তৈরির নিয়ম জানুন


অনেকে চেষ্টা করেছেন বাজার থেকে কেনা এলাচ দিয়ে চারা তৈরি করতে।কিন্তু ৯৯% লোক সফল হতে পারে নি। অনেকে ব্যক্তি উদ্যোগে দেশের বাইরে থেকে বীজ এনে কিছুটা সফল হয়েছে বলে শোনা যায়।অনেকে প্রশ্ন করেন এলাচ চারা তৈরি করব কিভাবে?আজকে সেকল প্রশ্নের  উত্তর দেব।


প্রশ্ন ১
বাজার থেকে কেনা এলাচ দিয়ে কি চারা তৈরি করা যায়?
উত্তর: হ্যাঁ যায়।তবে সাকসেস রেট খুবই কম  ১% মাত্র। কখনো কখনো ১০০% ব্যর্থ হয়।


প্রশ্ন ২. 
কিভাবে বাজার থেকে কেনা এলাচ দিয়ে চারা করবো?
প্রথমে ভালো এলাচ সংগ্রহ করে খোলার মধ্যে থাকা কালো ও পরিপক্ব বীজ সংগ্রহ করে তিন থেকে চার দিন পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।যদি সম্ভব হয় সামান্য এসিড মিশ্রিত পানিতে একদিন ভিজিয়ে রাখুন (সাবধান এসিডে হাত হাত পুড়ে যায় এমন কিছু করবেন না)। তারপর পানিতে ভিজিয়ে রাখুন তিন দিন। যদি এসিড দিয়ে সম্ভব না হয় তবে সামান্য হলুদ পানিতে মিশিয়ে চার দিন বীজগুলো ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে টিস্যু পেপারে মুড়িয়ে ঢাকনা ওয়ালা পাত্রে রাখতে হবে। 
সর্বনিম্ন ১ মাস থেকে সর্বোচ্চ ৩ মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।বীজ অঙ্কুরিত হলে টবে লাগিয়ে দিবেন।তবে  সফল হবার সম্ভবনা খুবই কম।


প্রশ্ন ৩.
ভালো জাতের এলাচ কোথায় ধরে গাছের গোড়ায় নাকি ডগায়?
উত্তর : ভালে জাতের, কালে বা শাহী এলাচ,সাদা এলাচ, ও ছোট সবুজ এলাচ গাছের গোঁড়ায় হয়। 


প্রশ্ন ৪.
ভাল জাতের এলাচ চারা কেথায় পাব?
উত্তর : যশোরের বেনাপোল ও কুড়িগ্রামের রউমারী উপজেলায়। এছাড়াও বিচ্ছিন্নভাবে অনেকে চাষ করছে।


প্রশ্ন ৫.
কত বছর পর এলাচ গাছে ফুল আসে?
উত্তর : দুই বছর পর।


প্রশ্ন ৬.
এলাচ ফুল ঝরে যায় কেন?
উত্তর: মাটিতে রস না থাকলে,অতিরিক্ত গরম পড়লে ফুল ঝরে যেতে পারে।গাছের গোড়ায় জৈব সার, ও পাতায় পরিমাণ মত বোরন সার স্প্রে করতে হবে। 


প্রশ্ন ৭.
কেমন জায়গায় এলাচ চাষ করা হয়? 
উত্তর: ভেজা স্যাঁতস্যাতে ছায়াযুক্ত স্থানে এলাচ ভালো জন্মে।


প্রশ্ন ৮.
এলাচ চাষের সম্ভাবনা কেমন?
ভালো। কিন্তু ভালো জাতের চারা প্রয়োজন। 

আরো বিস্তারিত পড়ুন এই লিংকে 

অনলাইন নার্সারি থেকে গাছ কিনে যেভাবে আপনি প্রতারিত হতে পারেন

 অনলাইন নার্সারি থেকে গাছ কিনে যেভাবে

নিত্যপ্রয়োজনীয় থেকে সৌখিন  সব ধরনের পন্য এখন অনলাইনে কিনতে পাওয়া যায়।বিশেষ করে গত দুই বছরে কোভিড-১৯ ও লকডাউনে অনলাইন ব্যবসাটা বেড়েছে। সেইসাথে বেড়েছে প্রতারকদের সংখ্যাও।আমি আজ কথা বলব কৃষি পন্য ও প্রতারক নার্সারি ব্যবসায়ীদের নিয়ে। আমি দীর্ঘদিন ধরে এলাচ গাছের চার খুঁজতেছিলাম।ফেসবুকে চারা গাছ বেচা-কেনার অসংখ্য গ্রুপ ও পেজ রয়েছে। কিন্তু কেউ আসল জাতে চারা অর্থাৎ Eleteria cardamom দিতে পারে নি।সকলে ফলস গাছ দিয়েছে সেটাকে বন্য এলাচও বলা হয়।একবারতো ১৫ দিন পর গাছ পেলাম,গাছটাকে আর বাঁচানো যায় নি।সৌদি খেজুরের চারা নিয়ে রমরমা ব্যবসা করছে কিছু লোক।আমি অনলাইনে তাদের সাথে যোগাযোগ করি। বীজ থেকে গোঁজানো চারার দাম চেয়েছিলো ২০০০ টাকা আর গাছের গোঁড়া থেকে বের হওয়া চারার দম ২০ হাজার থেকে লাখ টাকা পর্যন্ত। পরবর্তীতে আমি নিজেই বীজ থেকে চারা তৈরি করেছি।

 অনলাইনে আঙ্গুর চারার দাম  চেয়েছিলো ৬০০ টাকা। অথচ সাভার হার্টিকালচার সেন্টার থেকে প্রতি পিচ মাত্র  ২৫ টাকা করে কিনেছিলাম। আপেল চারা দাম ১২০০ টাকা চেয়েছিলো।পরবর্তীতে স্থানীয় একটি নার্সারি থেকে ৬০০ টাকায় কিনেছিলাম। মাল্টা আর কমলার দাম চেয়েছিলো ৪০০-৫০০ টাকা।অথচ আমার এলাকার নার্সারি থেকে  মাত্র ১৫০ টাকা দিয়ে কিনেছিলাম। সরকারি হার্টিকালচার সেন্টারে তো আরো কম দামে ভাল জাতের মাল্টার চারা পাওয়া যায়।

কেউ কেউ অগ্রীম টাকা নিয়ে ক্রেতার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। অনেকে ফেসবুকে ব্লক করে দেয়।অনকে সংখ্যায় কম দেয়। অনেকে ভিন্ন গাছ দেয়।তাই সাবধান এদের থেকে। তবে সবাই যে খারাপ,প্রতারক  তা নয়,অনেক বিশস্ত ও প্রোফেশনাল লোক রয়েছে। 

ইদানিং অনলাইন ও কিছু নার্সারি মালিক লাল কাঠাল,সাদা কাঠাল ও কিছু আজগুবি গাছকে বিদেশি গাছ বলে প্রচারণা চালিয়ে জনসাধারণের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার ধান্দা শুরু করেছে। অথচ তারা নিজেরা কখনো এগুলো বাস্তবে ফলতে দেখেনি।তাদের কাছে প্রমাণ চাইলে দিতে পারে না।অনলাইন থেকে ছবি নিয়ে তা দিয়ে সবাই প্রচারণা চালায়।তারা এতোবেশি প্রচারণা চালায় যে মানুষ স্বপ্ন দেখতে শুরু করে।প্রচুর অর্থ ব্যায় করে বানিজ্যিক চাষাবাদ শুরু করে অথচ কাংখিত সফলতা পাওয়া যায় না। আসলে সব ফল-ফসল যেমন সবদেশে হয় না তেমন একটি  দেশের সব এলাকায়  একই ফসল হয় না। আবহাওয়া, তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাতের পার্থক্যের কারণে। বিদেশি কিছু ফল-ফসল আমাদের দেশেও হচ্ছে কিন্তু তার সাকসেস রেট দেখতে হবে তো।উপযুক্ত পরিবেশে একটি গাছ থেকে ১০০ কেজি আপেল পাওয়া গেলে আপনার এলাকায় আপনি পাচ্ছেন ৫ কেজি।তো শখের বসে দু-চারটা লাগাতে পারেন এসকল বিদেশি গাছ।পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে যদি প্রথমেই বানিজ্যিক চাষাবাদ করতে যান তবে সর্বস্বান্ত হওয়ার সম্ভবনা আছে। 

তাই সকল কৃষক ও গাছপ্রেমীদের বলব,আপনারা কৃষি অফিসারের পরামর্শ নিন,সরকারী হার্টিকালচার সেন্টার থেকে চারা কিনুন।যদি বিদেশি নতুন প্রজাতির গাছ লাগাতেই হয় তবে পরীক্ষামূলকভাবে দু-একটা লাগাতে পারেন। 

অবসরে শখের বাগান করুন ও ফ্রিল্যান্সিং হিসাবে আয় করুন

অবসরে শখের বাগান


আমরা জাতি হিসাবে খুবই অদ্ভুত।আমরা ধৈর্যহীন কিন্তু বছরের পর বছর ধরে একই স্বপ্ন দেখে যায়।আমার কাছে  মনে হয়, ডিজিটাল এই যুগে সবকিছুতে অনেক বেশি তাড়াহুড়ো করে ফেলছি।ফলশ্রুতিতে বেশিরভাগ মানুষ  প্রতারিত হচ্ছে। ইউটিউব, ফেসবুকে অনলাইনে আয়ের অনেক ভিডিও পাবেন, কিন্তু সেগুলোর কতোটা সত্য ও বাস্তবে সম্ভব সেটা কি ভেবে দেখেছেন? কিছুলোক এসকল মুখরোচক ফালতু ভিডিও বানিয়ে নিজেরা হাজার ডলার আয় করছে।আর আপনি অযথা সময়, শ্রম ও অর্থ নষ্ট করছেন। তবে হ্যাঁ অনলাইন থেকেও আপনি লাখ টাকা আয় করতে পারবেন যখন আপনি  অনুশীলন ও প্রশিক্ষণ নিয়ে যোগ্যতা অর্জন করবেন। আসুন জেনে নেয়া যাক  বিনা অভিজ্ঞতা ও অল্প পুঁজিতে যেভাবে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করবেন। 

কৃষি থেকে আয়



আঙ্গিনা কৃষি 

বাড়ির আঙ্গিনায় বা পতিত জমিতে শাক-সবজি চাষাবাদ করুন। লেবু, কলা,পেঁপে চাষ করুন। কারণ অল্প পুঁজিতে , স্বল্প শ্রম ও সময়ে হাজার হাজার  টাকার মালিক হতে পারবেন। আমি আপনাদেরকে অনলাইন প্রতারকদের মত মুখরোচক গল্প শুনিয়ে লাখ টাকার হেড লাইন দেব না। ভাই বাস্তবতা বুঝতে হবে।রাতারাতি ধনী হওয়া যায় না।যে সময়টা টিকটকে দিচ্ছেন সে সময়টা ভালো কাজে দিন।দশটা গাছ লাগান। ২০ বছর পর লাখ টাকা দেবে।মনে রাখবেন গাছ আপনাকে ধোকা দেবে না।একটা সময় আসবে বর্তমানের জন্য আফসোস করতে হবে। কারণ ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক,লাইকি এগুলো সব মরীচিকা। 


ছাদ কৃষি 

শহর অঞ্চলের বাড়িগুলোর আঙ্গিনায় জমি কম থাকায় অনেক ছাদ কৃষি করছেন। সব ধরনের ফল-মূল, শাক-সবজি চাষাবাদ করছেন। সংসারের চাহিদা মিটিয়ে অনেকে তা বিক্রি করে বাড়তি রোজগার করছেন। সম্ভব হলে আপনিও করুন। 

আমি বিশ্বাস করি,অভাব আমাদের স্বভাবের কারণে হয়। 

সবচেয়ে বেশি পঠিত